১৩ বছরের কিশোরী পারভীন সুলতানা (ছদ্মনাম)। ২০১৬ সালের অক্টোবরে বাবাকে
হত্যা করে মিয়ানমার সৈন্যরা। এরপর রাখাইনের নাইসাপ্রু থেকে চাচা-চাচীর সাথে
পালিয়ে এসে উখিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিছুদিন পর এইডস আক্রান্ত
হয়ে তার মা মারা যায়। এরপর পারভীনেরও শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। পরীক্ষার পর
জানা যায় সে-ও এইচআইভি পজিটিভ। এরপর থেকে কক্সবাজারের বেসরকারি চিকিত্সা
কেন্দ্র ‘আশার আলো সোসাইটি’তে চিকিত্সাধীন পারভীন।
আশার আলো সোসাইটিতে পারভীনের বাসস্থান হিসেবে এখনো উল্লেখ আছে উখিয়ার ওই ভাড়া বাড়ি। তবে অনুসন্ধানে মিলেছে ভিন্ন তথ্য। কক্সবাজার শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে ভাইকে নিয়ে থাকে পারভীন। আর জীবন চালাতে ইতোমধ্যে পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়েছে সে। শরীর কেমন- জানতে চাইলে পারভীন বলে, ‘মাথা ঘোরায়, খানা খেতে পারি না, গা কাঁপে। ভয় ভয় লাগে।’
কক্সবাজার সদরের বিভিন্ন হোটেল ও শহরের কলাতলীস্থ সিংহভাগ কটেজ ও গেষ্ট হাউসে হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলছে জমজমাট পতিতা ব্যবসা। থানা পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে পতিতা ও দালালদের আটক করেলেও কিছুতেই থামছে না এই পতিতা ব্যবসা। বিশেষ করে শহরের এন্ডারসন রোড়ের পাচঁতারাহোটেল,আহসান বোড়িং,সাতকানিয়া বোড়িং, ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন রাজমনি হোটেল,ঝাউতলা রোড়ের হোটেল সী-কুইন প্রা: লি: ও কলাতলীস্থ সিংহভাগ কটেজ ও গেষ্ট হাউসে রাত-দিন চলছে প্রকাশ্যে পতিতা ব্যবসা। দু’ সিফটে ভাগ করে এসব হোটেল গুলিতে চলে পতিতা ব্যবসা। দিনে চলে রেজিষ্টারবিহীন ঘন্টা ব্যাপী দেহ ব্যবসা আর রাত্রে চলে হোটেলে অবস্থারত বোর্ডারদের সিরিয়াল ভিত্তিক পতিতা ব্যবসা।
একই কেন্দ্রে চিকিত্সাধীন আরেকজন এইডস রোগী ৪৫ বছরের মো. সুলতান (ছদ্মনাম)। ২২ বছর আগে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের রামুতে আসেন। এর মাঝে পাকিস্তান হয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। আর সেখান থেকে এইচআইভি’র জীবাণু নিয়ে বাংলাদেশে আসেন।
কিশোরী পারভীন কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক সুলতানের মতো যেসব রোহিঙ্গা আগে থেকেই বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে এদের অনেকের শরীরেই এইচআইভি পজিটিভ পাওয়া গেছে। কক্সাবাজার সদর হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, এর আগেও মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন সময়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইডস রোগী পাওয়া গেছে। আর নতুন করে যারা পালিয়ে আসছেন তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৭ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জন নারী ও ১১ জন পুরুষ। ইতোমধ্যে এইডস আক্রান্ত মরিয়ম বেগম (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বিভিন্ন পতিতা ব্যবসায়ী ও দালালরা মোট অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে উঠতি বয়সের রোহিঙ্গা তরুণীদের সংগ্রহ করে তাদের সাথে আতাত হওয়া পর্যটন নগরী কক্সবাজারের তালিকাভুক্ত হোটেলগুলিতে পতিতা সরবরাহ করে থাকে অনেক সময় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রুম নিয়ে রাত্রে হোটেলে অবস্থারত বোর্ডারদের বিভিন্ন রুমে মোটা টাকার বিনিময়ে এসব রোহিঙ্গা তরুনীদের ঘন্টা ও সারা রাত্রের জন্য ভাড়া দেয়। আর এসব দালালদের সাথে হোটেল কর্তৃপক্ষের রয়েছে গোপন আতাত। ঢাকা থেকে আসা করিম নামের এক দালাল জানান,আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের গ্রীণ সিগনাল পেলে তার পর আমরা এসব হোটেলে রোহিঙ্গা পতিতা নিয়ে আসি এবং সরবরাহ করে থাকি। তবে রোহিঙ্গা পতিতাদের উপার্জিত সিংহ ভাগ টাকা হোটেল কর্তৃপক্ষ নিয়ে নেন বলে তিনি জানান।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সক শানীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রতিবেশী মিয়ানমারে প্রতি ১ হাজার জনে ৮ জনের এইচআইভি পজিটিভ বলে ধরা হয়। সেই হিসেবে বাংলাদেশে যে পরিমাণ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে তাদের মধ্যে অন্তত ৪ হাজার এইডস রোগী থাকতে পারে। তবে এই সংখ্যা কিছুটা কমবেশি হতে পারে বলে তিনি জানান ।
এইডস ঝুঁকিতে কক্সবাজার – সস্তায় রোহিঙ্গাদের সেক্স এর জন্য ভাড়া করছে যুবকরা
পারভীন জানায়, তার বাবা শামসুল ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন। পারভীনের জন্মের আগে বাবার কাছ থেকে এইচআইভি’র জীবাণু ছড়ায় মা রহিমা আক্তারের শরীরে। ২০১২ সালে মিয়ানমার সহিংসতার সময় তারা প্রথম দফায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সে সময় কিছুদিন রহিমা ‘আশার আলো সোসাইটি’তে চিকিত্সা নিয়ে আবার মিয়ানমারে ফিরে যান। এরপর ২০১৬’র অক্টোবরের সহিংসতায় বাবাকে হত্যা করা হলে তারা আবার পালিয়ে আসে। কিছুদিন পর মা-ও এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর চিকিত্সা নিতে ভর্তি হয় পারভীন।আশার আলো সোসাইটিতে পারভীনের বাসস্থান হিসেবে এখনো উল্লেখ আছে উখিয়ার ওই ভাড়া বাড়ি। তবে অনুসন্ধানে মিলেছে ভিন্ন তথ্য। কক্সবাজার শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে ভাইকে নিয়ে থাকে পারভীন। আর জীবন চালাতে ইতোমধ্যে পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়েছে সে। শরীর কেমন- জানতে চাইলে পারভীন বলে, ‘মাথা ঘোরায়, খানা খেতে পারি না, গা কাঁপে। ভয় ভয় লাগে।’
কক্সবাজার সদরের বিভিন্ন হোটেল ও শহরের কলাতলীস্থ সিংহভাগ কটেজ ও গেষ্ট হাউসে হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলছে জমজমাট পতিতা ব্যবসা। থানা পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে পতিতা ও দালালদের আটক করেলেও কিছুতেই থামছে না এই পতিতা ব্যবসা। বিশেষ করে শহরের এন্ডারসন রোড়ের পাচঁতারাহোটেল,আহসান বোড়িং,সাতকানিয়া বোড়িং, ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন রাজমনি হোটেল,ঝাউতলা রোড়ের হোটেল সী-কুইন প্রা: লি: ও কলাতলীস্থ সিংহভাগ কটেজ ও গেষ্ট হাউসে রাত-দিন চলছে প্রকাশ্যে পতিতা ব্যবসা। দু’ সিফটে ভাগ করে এসব হোটেল গুলিতে চলে পতিতা ব্যবসা। দিনে চলে রেজিষ্টারবিহীন ঘন্টা ব্যাপী দেহ ব্যবসা আর রাত্রে চলে হোটেলে অবস্থারত বোর্ডারদের সিরিয়াল ভিত্তিক পতিতা ব্যবসা।
একই কেন্দ্রে চিকিত্সাধীন আরেকজন এইডস রোগী ৪৫ বছরের মো. সুলতান (ছদ্মনাম)। ২২ বছর আগে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের রামুতে আসেন। এর মাঝে পাকিস্তান হয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। আর সেখান থেকে এইচআইভি’র জীবাণু নিয়ে বাংলাদেশে আসেন।
কিশোরী পারভীন কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক সুলতানের মতো যেসব রোহিঙ্গা আগে থেকেই বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে এদের অনেকের শরীরেই এইচআইভি পজিটিভ পাওয়া গেছে। কক্সাবাজার সদর হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, এর আগেও মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন সময়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইডস রোগী পাওয়া গেছে। আর নতুন করে যারা পালিয়ে আসছেন তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৭ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জন নারী ও ১১ জন পুরুষ। ইতোমধ্যে এইডস আক্রান্ত মরিয়ম বেগম (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বিভিন্ন পতিতা ব্যবসায়ী ও দালালরা মোট অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে উঠতি বয়সের রোহিঙ্গা তরুণীদের সংগ্রহ করে তাদের সাথে আতাত হওয়া পর্যটন নগরী কক্সবাজারের তালিকাভুক্ত হোটেলগুলিতে পতিতা সরবরাহ করে থাকে অনেক সময় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রুম নিয়ে রাত্রে হোটেলে অবস্থারত বোর্ডারদের বিভিন্ন রুমে মোটা টাকার বিনিময়ে এসব রোহিঙ্গা তরুনীদের ঘন্টা ও সারা রাত্রের জন্য ভাড়া দেয়। আর এসব দালালদের সাথে হোটেল কর্তৃপক্ষের রয়েছে গোপন আতাত। ঢাকা থেকে আসা করিম নামের এক দালাল জানান,আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের গ্রীণ সিগনাল পেলে তার পর আমরা এসব হোটেলে রোহিঙ্গা পতিতা নিয়ে আসি এবং সরবরাহ করে থাকি। তবে রোহিঙ্গা পতিতাদের উপার্জিত সিংহ ভাগ টাকা হোটেল কর্তৃপক্ষ নিয়ে নেন বলে তিনি জানান।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সক শানীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রতিবেশী মিয়ানমারে প্রতি ১ হাজার জনে ৮ জনের এইচআইভি পজিটিভ বলে ধরা হয়। সেই হিসেবে বাংলাদেশে যে পরিমাণ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে তাদের মধ্যে অন্তত ৪ হাজার এইডস রোগী থাকতে পারে। তবে এই সংখ্যা কিছুটা কমবেশি হতে পারে বলে তিনি জানান ।
এইডস ঝুঁকিতে কক্সবাজার – সস্তায় রোহিঙ্গাদের সেক্স করছে যুবকরা
Reviewed by Lucifer
on
January 22, 2018
Rating:
সরকার চাইলে বন্ধ করা যেত।
ReplyDelete